সঠিক পরিকল্পনা ও তদারকির মাধ্যমে এবং নির্মাণ সামগ্রী ও নির্মাণ কাজের যথাযথ গুণগতমান বজায় রেখে খরচ কমানোর টিপস দেওয়া হল । কম খরচে বাড়ি নির্মাণ বলতে নিম্নমানের বাড়ি নয়, সঠিক বাড়ির প্লান, ডিজাইন, এস্টিমেট, সয়েলটেস্ট এবং অভিজ্ঞ প্রকৌশলী/আর্কিটেক্ট/কন্ট্রাকটর ও দক্ষ কারিগর নিয়োগের মাধ্যমে জমির মালিক ২০% কম খরচে বাড়ি নির্মাণ করা সম্ভব।

নির্মাণ ব্যয় কমানোর উপায়সমূহ সাধারণত নিম্নরূপ

সঠিক নির্মাণ পরিকল্পনা এবং উহার তদারকি (সুপারভিশন)।

  • দেশীয় নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার।
  • সঠিক ভূমির ব্যবহার।
  • পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
উপরোক্ত উপায়সমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপঃ

সঠিক নির্মাণ পরিকল্পনা এবং উহার তদারকি (সুপারভিশন)  সঠিক নির্মাণ পরিকল্পনা এবং উহার বাস্তবায়ন ও সুপারভিশনের সাহায্যে বাড়ি নির্মাণ ব্যয় ২০% কমানো সম্ভব।

দেশীয় নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার : বিদেশী নির্মাণ সামগ্রীর পরিবর্তে দেশীয় সামগ্রী যথাযথ মান বজায় রেখে ব্যবহার করা  সত্ত্বে ও নির্মাণ ব্যয় কমানো সম্ভব।

সঠিক ভূমি/জমির ব্যবহার : প্ল্যান অনুযায়ী ভূমির সঠিক ব্যবহার করা হলে নির্মাণ ব্যয় কিছুটা কমানো সম্ভব।

পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা : সঠিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার মাধ্যমে নির্মাণ ব্যয় কমানো যায়।

সঠিক পরিবেশ বলতে:

সাইটে বাউন্ডারী ওয়াল তৈরী জান-মালের নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মাণ কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা (কাজের অগ্রগতি), সাইটে পানি সরবরাহ ও নিস্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, সাইটে সহজ প্রবেশ পথ তৈরী এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রতিবেশীর সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা ইত্যাদি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা:

প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন- বন্যা, ঝড়, বৃষ্টি, দূর্যোগ আবহাওয়া, ভূমিকম্প ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে নির্মাণ পরিকল্পনা করা হলে ব্যয় অনেকটা কমানো যায়।

বাড়ি তৈরির সময় খরচ কমানো
বাড়ি তৈরির সময় খরচ কমানো
এছাড়াও নিম্নলিখিত কাজের মাধ্যমে বাড়ি নির্মাণ ব্যয় কমানো সম্ভব
  • জমির মাপ অনুযায়ী সঠিক ভাবে বাড়ির প্ল্যান তৈরী করা হলে নির্মাণ ব্যয় কমানো যায়।
  • ফাউন্ডেশন সিলিং এবং ঢালাই বাদ নিয়ে ডিজাইন কতৃক ফাউন্ডেশন করা হলে নির্মাণ ব্যয় কমানো যায়।
  • ১ম শ্রেণীর ইট দিয়ে এবং যথাযথ মানের মশলা ( শর্টার ) ব্যবহার করে কিউরিং করা হলে ইটের দেয়ালে প্লাষ্টারের প্রয়োজন হয় না। এভাবে নির্মাণ ব্যয় কমানো যায়।
  • অনেক সময় দরজা জানালার উপর টানা লিন্টেল না দিয়ে ডিজাইন কতৃক খন্ড বা টুকরা লিন্টেল দিয়ে বা ব্যবহার করে নির্মাণ ব্যয় কমানো যায়।
  • ছাদে রুফিং কম্পাউন্ড ব্যবহার করে ছাদেও কাজ সম্পন্ন করা যায় এবং তাতে নির্মাণ ব্যয় কমানো যায়।
  • দরাজা জানালা দামী কাঠের পরিবর্তে বাহিরের দেয়াল ষ্টীল, এংগেল ফ্রেম এবং সিট ব্যবহার করা যায়। বাড়ির ভেতরের দরজা দামী কাঠ দিয়ে না বানিয়ে পি.ভি.সি বা ফ্লস কাঠের তৈরি পাল্লা ব্যবহার করে ব্যয় কমানো যায়।
  • স্যানিটারি বিদেশী সামগ্রীর পরিবর্তে দেশীয় সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ খরচ কমানো যায়।
  • অনেক সময় আর.সি.সি ফ্লোরের পরিবর্তে বালির মেঝে ভালভাবে দুরমুজ করে পলিথিন দিয়ে ইটের সিলিং এবং মর্টার ব্যবহার করে ফ্লোর তৈরি করা হলে ব্যয় কমানো সম্ভব।
  • বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে দেয়ালের সারফেসে ওয়ারিং করার জন্য আমাদের দেশে সস্তায় বিদ্যুৎ সামগ্রী যথাযথ মানের পাওয়া যায় যা দ্বারা নির্মাণ ব্যয় কমানো যায়।